রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ৪নং মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মেজর আলী বিশ্বাস ইউনিয়নের দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক মহলের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার (২১ জুন)সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে।
মেজর আলী বিশ্বাস বলেন, “আমি নির্বাচিত ইউপি সদস্য হিসেবে ৫ ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের আমলেই নির্বাচিত হই। এরপর পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সুপারিশে আমাকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি দায়িত্বে আসার পর থেকেই ইউনিয়নের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছি। পরিষদের প্রতিটি কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ ইউপি সদস্য
এরা তৎকালীন সময় থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন:
– মোজাফ্ফর হোসেন (সদস্য, ওয়ার্ড-০৯)
– জালাল উদ্দিন (সদস্য, ওয়ার্ড-০৬)
– নাসির উদ্দিন সদস্য, ওয়ার্ড -৩)
– মোঃ একরাম আলী ২ওয়ার্ড)
– মোঃ কামাল হোসেন (সদস্য, ওয়ার্ড-০১)
সাবেক চেয়ারম্যান আল আমিন বিশ্বাসের সঙ্গে মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। তাদের দাবি অনুযায়ী সুবিধা না দেওয়ায় তারা এখন উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।”মেজর আলী বিশ্বাস অভিযোগ করেন, “বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে—বিশেষ করে ‘জয় বাংলা’ নামক একটি ফেসবুক পেজে আমার বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য ও আপত্তিকর ভাষায় পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। অথচ বাস্তবে সাধারণ জনগণের মধ্যে কোনো অসন্তোষ নেই, বরং তারা পরিষদের কাজের সঙ্গে সন্তুষ্ট।”তিনি বলেন, “আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে পরিষদের কাজ পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অথচ একটি মহল পরিকল্পিতভাবে ভাতা কার্ড, ট্রেড লাইসেন্স বা দোকানঘর ভাড়া নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমার বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ দিচ্ছে, যাতে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।”মেজর আলী বিশ্বাস আরও বলেন, “আমি পরিষদের রাজস্ব আদায় থেকে শুরু করে উন্নয়ন প্রকল্প পর্যন্ত সবকিছু নিয়ম মেনেই পরিচালনা করেছি। তবু যারা আগে ব্যক্তিস্বার্থে পরিষদের সুবিধা নিয়েছেন, তারা এখন সেই সুবিধা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে এসব চক্রান্তে লিপ্ত হচ্ছেন।”তিনি কঠোর ভাষায় বলেন, “আমি এসব মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেব এবং প্রয়োজনে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করব।”
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, বিগত দিনে পরিষদে নানা অনিয়ম ও পক্ষপাতের অভিযোগ থাকলেও মেজর আলী বিশ্বাস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পরিষদের কার্যক্রম অনেক বেশি গোছানো ও জবাবদিহিমূলক হয়েছে। সাংবাদিকদের ব্রিফিং এ মেজর আলী বিশ্বাস বলেন, “আমি পরিষদের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাব। যারা ষড়যন্ত্র করছে সময়ই তাদের মিথ্যাচার প্রমাণ করবে।