সরকারের ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) কর্মসূচির আওতায় নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে স্বল্প মূল্যে চাল-আটা বিক্রির উদ্যোগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কাজলা মোড় এলাকায়। অভিযুক্ত ডিলার রেজাউল হক রাজা সকাল থেকে লাইন দেওয়া অসহায় মানুষদের নির্ধারিত ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা না দিয়ে বেলা ১টার পর চাল বিতরণ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সাংবাদিকের উপস্থিতিতে লাইনে দাঁড়ানো অনেকেই অভিযোগ করেন, পাঁচ-ছয় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও তারা ঠিকমতো পণ্য পান না। কেউ কেউ দাবি করেন, অতিরিক্ত ৩০০ টাকা দিলে তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, অসন্তুষ্ট কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি দেওয়া হয় এবং কখনো কখনো পুরোপুরি চাল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এক পর্যায়ে সাংবাদিক ডিলারের দায়িত্ব রত বিক্রয় কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন। প্রাথমিকভাবে ডিলার দাবি করেন, গাড়িতে কোনো চাল অবশিষ্ট নেই। তবে পরবর্তীতে স্বীকার করেন যে গাড়িতে এখনো ৫০ কেজির ১২ বস্তা চাল মজুদ রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিক স্থানীয় তদারকি কর্মকর্তা একলাছ মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে ডিলারের ঘনিষ্ঠ নজরুল ইসলাম নামে একজন ব্যক্তি বিভিন্ন নম্বর থেকে সাংবাদিককে ফোন দিয়ে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে দায়িত্বরত এআরও (অঞ্চলিক বিপণন কর্মকর্তা) শহিদুল ইসলাম সাংবাদিককে বলেন, “আপনার কাছে যদি কোনো প্রমাণ থাকে, আমাকে দিন।” অভিযোগ রয়েছে, পূর্বেও একাধিকবার অনিয়মের বিষয়ে তাঁকে অবগত করা হলেও তিনি তেমন কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নেননি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার অভিযোগ করেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যথাযথ সহায়তা না পাওয়ায় তারা হতাশ। তারা মনে করছেন, একটি সরকারি খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি কয়েকজন ডিলার ও সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তার উদাসীনতায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।