আজ ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে পারমাণবিক অস্ত্রের সম্পূর্ণ নির্মূলের আন্তর্জাতিক দিবস। দিবসটির মূল বার্তা—পারমাণবিক অস্ত্র কোনো নিরাপত্তা দেয় না, বরং কেবল ধ্বংসের নিশ্চয়তা বহন করে।
জাতিসংঘের বার্তায় বলা হয়েছে, শীতল যুদ্ধের সময় মানবজাতি নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে যে ঝুঁকি নিয়েছিল, এই দিনটি আমাদের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, আজও পারমাণবিক ধ্বংসের ছায়া মানবতার উপর ঝুলে আছে। বিভক্তি, অবিশ্বাস, সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি এবং দেশগুলোর পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার—এসবই পৃথিবীকে আরও ভয়ংকর অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বার্তায় আরও বলা হয়, মানবজাতি ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছে। তাই নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে স্থায়ী শান্তির নতুন পথ তৈরির এখনই সময়। গত সেপ্টেম্বরে চুক্তির মাধ্যমে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো পারমাণবিক অস্ত্রের সম্পূর্ণ নির্মূলের লক্ষ্যে পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শুধু কথার নয়, বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিব বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রগুলোকে অবশ্যই মানবতার উপর ঝুলে থাকা এই অশুভ ছায়া সরিয়ে নিতে হবে। নিরস্ত্রীকরণের বাধ্যবাধকতা রক্ষা করতে হবে এবং পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূলের দিকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই বার্তা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে। কারণ প্রতিদিনই বাড়ছে সামরিক বাজেট, জমছে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ, আর বেড়ে চলেছে শক্তির রাজনীতি। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক দিবসটি কেবল সচেতনতার নয়, বরং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকারের দিন।