1. sokalerbangla@gmail.com : admin :
  2. dainikchoukos@gmail.com : jahid hasan : jahid hasan
বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
সদ্য প্রাপ্ত:-
টাংগাইলে কোরবানির হাট জমজমাট। মোহনপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা লামায় ‘ তারুণ্যের অগ্রযাত্রায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভা   মোহনপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকীতে রক্তদান ও আলোচনা সভা পতেঙ্গা সী-বীচে হোটেল ব্যবসার নামে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আস্তানা বহুতল ভবনের নকশা বিতর্ক: একজনের দায়, নাকি সিস্টেমের গলদ? রাজশাহীর মোহনপুরে সংখ্যালঘুর জমিতে জোরপূর্বক পুকুর খনন, কৃষকদের অভিযোগ অভিযোগের টাইমলাইন: রাজউক কর্মকর্তার প্রতিটি পদক্ষেপের ব্যাখ্যা বড়াইগ্রামে ৩দিন ব্যাপী ভূমি মেলা শুরু রাজশাহীর মোহনপুরে তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন

গ্রামীণ জনপদের অবস্থাসম্পন্ন অধিকাংশ গৃহস্থের বাড়িতেই ছিল কাচারিঘর।

হেলাল শেখঃ
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪

আমাদেরও কাচারিঘর ছিল, গ্রাম-বাংলার ইতিহাস এমন কাছারিঘর, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির একটি অংশ। কালের বিবর্তনে আজ কাচারিঘর বাঙালির সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। গেস্টরুম কিংবা ড্রয়িং রুমের আদি ভার্সন কাচারিঘর এখন আর গ্রামীণ জনপদে দেখা যায় না।

কাচারিঘর মূল বাড়ির একটু বাইরে আলাদা খোলামেলা ঘর। অতিথি, পথচারী কিংবা সাক্ষাৎ প্রার্থীরা এই ঘরে এসেই বসতেন। প্রয়োজনে দু-এক দিন রাতযাপনেরও ব্যবস্থা থাকত কাচারিঘরে। কাচারিঘর ছিল বাংলার অবস্থাসম্পন্ন গৃহস্থের আভিজাত্যের প্রতীক। কাঠের কারুকাজ করা টিন অথবা ছনের ছাউনি থাকত কাচারিঘরে। আলোচনা, শালিস বৈঠক, গল্প-আড্ডার আসর বসত কাচারিঘরে। বর্ষা মৌসুমে গ্রামের লোকজনদের উপস্থিতিতে কাচারিঘরে বসত পুঁথিপাঠ। পথচারীরা এই কাচারিঘরে ক্ষণিকের জন্য বিশ্রাম নিতেন।

বিপদে পড়লে রাতযাপনের ব্যবস্থা থাকত কাচারিঘরে। গৃহস্থের বাড়ির ভেতর থেকে খাবার পাঠানো হতো কাচারিঘরের অতিথির জন্য। আবাসিক গৃহশিক্ষকের (লজিং মাস্টার) থাকার ব্যবস্থা থাকত কাচারিঘরেই। কোনো কোনো বাড়ির কাচারিঘর সকাল বেলা মক্তব হিসেবেও ব্যবহৃত হতো।

বিলুপ্ত প্রায় ‘বাংলো ঘর’ নামে খ্যাত ‘কাচারি ঘর’। এখন সে জায়গায় স্থান করে নিয়েছে ড্রয়িং রুম। বর্তমানে যে কয়টি কাচারিঘর অবশিষ্ট আছে তাও অবহেলা-অযত্নে ধ্বংস প্রায়।

সময়ের বিবর্তনে শহরের পাশাপাশি গ্রামের পরিবার গুলোও ছোট ও আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। তাই বিলুপ্তির পথে শতবর্ষের বাঙালি ঐতিহ্য কাচারি ঘর নামে খ্যাত বাহির বাড়ির বাংলো ঘরটি। দাদার বাবা ও দাদারা গত হয়েছেন আমরাও একদিন গত হবো, জন্ম হলে মৃত্যু হবেই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved dailychoukas.com 2014-2025
Theme Customized BY LatestNews