1. sokalerbangla@gmail.com : admin :
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
সদ্য প্রাপ্ত:-
রাজশাহী মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি কালীগঞ্জে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধর্ষণের শিকার তরুণী দাগনভূঞা কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপহার সামগ্রী বিতরণ ।  রামপালের বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে অনুষ্ঠিত  ঘাটাইলে মাদরাসার সাবেক সভাপতি মুন্নু-মুদ্রাক্ষরিক চুন্নু‘র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এমবিবিএস-বিভিএস ছাড়া ‘ডাক্তার’ লেখা নিষিদ্ধ, হাইকোর্টের নির্দেশ নাটোরে সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে গ্রেপ্তার, ওসি-ইউএনও’র প্রত্যাহারের দাবি পোরশায় নির্বাচন কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন মাদক ব্যবসায়ী ও ভুয়া সাংবাদিক আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ভয়াবহ জ্বালিয়াতি ও অপকর্মের অভিযোগ চা শ্রমিকদের উৎসব বোনাস প্রদান করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য লাঙল জোয়ালের হালচাষ

জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় বেশির ভাগ বাড়িতে এক সময় হালচাষের বলদ গরু দেখা যেত। সে সময় জমি চাষের ঐতিহ্যবাহী একটি পদ্ধতি ছিল বলদ গরু-মহিষ, জোয়াল ও লাঙল মই দিয়ে জমি চাষ।এই পদ্ধতিতে লাঙলের ফলা জমির গভীর অংশ পর্যন্ত আলগা করত। গরুর পায়ের কারণে জমিতে কাদা হতো অনেক বেশি এবং গরুর গোবর জমিতে পড়ে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ত।কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যটি। জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখনো সামান্য টিকে আছে গরু দিয়ে হালচাষ। কিন্তু আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে এই চিরচেনা দৃশ্যটি।বর্তমানে বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে কৃষকদের জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তনের ছোঁয়াও লেগেছে কৃষিতে।বাপ-দাদার আমলে দেখা যেত কাক ডাকা ভোরে কৃষক গরু, মহিষ, লাঙল, জোয়াল মই নিয়ে মাঠে বেরিয়ে পড়ত। এখন এ দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। জমি চাষের প্রয়োজন হলেই অল্প সময়ের মধ্যেই পাওয়ার টিলারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চালাচ্ছে জমি চাষাবাদ।কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের আজাদ মিয়া তালুকদার বলেন, ৯০ দশকেও আমার বাড়িতে তিন জোড়া হালের বলদ গুরু ছিল। তখন জমি চাষের জন্য পাওয়ার টিলার ছিল না। গরু দিয়ে জমি চাষ করলে জমি উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি হয়। চাষের সময় জমিতে গোবর পড়ে জমিতে মিশে যায়। এতে রাসায়নিক সার কম লাগত।তিনি বলেন, জমি এখনো ঠিকই আছে। তবে হালের বলদ গুরু গুলো আর নেই। সময়ের ব্যবধানে কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি আসায় লাঙল-গুরুর ব্যবহার আর নেই।কাদিপুর গ্রামের জিলু মিয়া বলেন, গরুর লাঙল দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দুই বিঘা জমি চাষ করা সম্ভব। আধুনিক যন্ত্রপাতির থেকে গরুর লাঙলের চাষ আরও গভীর হয়। এতে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি ও ফসলের চাষাবাদে সার, কীটনাশক কম লাগত। তবে, দিনে দিনে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ছোঁয়ায়  হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্য।এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ বলেন, গরু-মহিষ, লাঙল, জোয়াল মই ছিল পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতি। কিন্তু বর্তমান সময়ে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি পুরোনো চাষ পদ্ধতিকে আমূল পরিবর্তন করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved dailychoukas.com 2014-2025
Theme Customized BY LatestNews