খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনার ফলে সংকটে পড়েছেন ভাটা মালিক ও শ্রমিকরা। সরকারি বিধিনিষেধের কারণে অনেকে কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হলেও, মালিকরা বলছেন—এতে বিপুল আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বেন।
আইনি জটিলতা ও পরিবেশগত ছাড়পত্রের সংকট :
সচেতন মহল মনে করেন, সরকার অনুমোদিত নীতিমালা মেনে চলা ইটভাটাগুলোকে ছাড়পত্র প্রদান করা উচিত। কারণ এই শিল্পের সঙ্গে লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা জড়িত। তবে, কিছু এলাকায় পরিবেশগত ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও ভাটা বন্ধের অভিযোগ উঠেছে, আবার কিছু স্থানে যথাযথ অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও ভাটা চালু ছিল।
ভাটা মালিকদের দাবি, তারা ইতোমধ্যে হাইকোর্টে লাইসেন্স ও ছাড়পত্র সংক্রান্ত রিট আবেদন করেছেন। এক মালিক বলেন, “আমরা সরকারি ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করেছি এবং জরিমানাও গুণেছি। এখন ভাটা বন্ধ হলে কোটি কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়তে হবে।”
শ্রমিকদের দুর্দশা :
শ্রমিকরা জানান, ইটভাটা বন্ধ থাকলে তাদের কর্মসংস্থানের বড় সংকট তৈরি হবে। অনেকে জীবিকা হারিয়ে পরিবার নিয়ে অনাহারে থাকার আশঙ্কায় আছেন।
সাধারণ জনগণের দাবি :
এলাকাবাসী ও সচেতন মহল সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, পরিবেশগত দিক বিবেচনা করে যাচাই-বাছাই শেষে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ভাটাগুলোর কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে প্রশাসনের অবস্থান জানতে চাইলে কর্মকর্তারা জানান, “পরিবেশ সংরক্ষণ আইন মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে, যেসব ভাটার ছাড়পত্র সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে, তা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।”