তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি ।
নরসিংদী জেলায় বর্তমানে সাংবাদিক সংগঠনের নামে অনিয়মত ভাবে সংগঠন গঠনের প্রবণতা বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি। প্রায় ৫০-৬০টি সংগঠন থাকলেও বাস্তবে ১০টিরও কম সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয় ও গঠনতন্ত্র রয়েছে। এমনকি বেশিরভাগ সংগঠনের সদস্য সংখ্যা আইনানুগ ন্যূনতম সীমার চেয়েও কম।
সাংবাদিকতার নামে এক শ্রেণির মানুষ তথ্য সন্ত্রাসে লিপ্ত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিয়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি করলেও, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কঠিন ঝামেলা পোহাতে হয়। থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা গেলেও, আইসিটি মামলার জন্য ঢাকার নির্দিষ্ট আদালতে যেতে হয়, যা সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। ফলে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
নরসিংদীর প্রকৃত সাংবাদিকরা এই ভুঁইফোড় সংগঠন ও তথাকথিত অপ সাংবাদিক দের রুখতে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সাংবাদিক মন্টি , সাংবাদিক পলাশ , নরসিংদীর চেতনা পত্রিকার সম্পাদক আশরাফ হোসেন টিপু সহ অন্যান্য সাংবাদিক নেতাদের নেতৃত্বে “অপারেশন ক্লিন সাংবাদিক, ক্লিন নরসিংদী” নামে একটি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে একদল চৌকস সাংবাদিক গণ । নরসিংদীর অপ সাংবাদিকদের তালিকা ঘটন ও চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তথ্য সূত্রে জানা যায়।
সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি, টেন্ডারবাজি, করতে ও নরসিংদী সহ সমস্ত জেলা গুলিতে এই
অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নরসিংদী সদর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের জেলা সমন্বয়ক মাসুদ রানা বাবুল জানিয়েছেন, “আমরা অপসাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো। যারা সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি, মিথ্যা প্রচারণা ও তথ্য সন্ত্রাস করছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে।”নরসিংদী জেলা ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রধান উপদেষ্টা নুরুজ্জামান পিটু বলেন অপসংবাদিক তথ্য সন্ত্রাস, চিটার বাটপার প্রতিরোধ করা হবে ।
আমাদের নেতা মাজহারুল পারভেজ, পলাশ ভাই, টিপু ভাইয়ের নেতৃত্বে ভুয়া সাংবাদিক চিহ্নিত করব।
জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের সমন্বয় ক এডভোকেট সারোয়ার খান,ও মানিক মিয়া জানান চিটার বাটপারদের কে প্রতিহত করা হবে, এবং আইনের আওতায় দেওয়া হবে ।
সাংবাদিকতার মহান পেশার মর্যাদা রক্ষা করতে এবং প্রকৃত সাংবাদিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। অপসাংবাদিকতা রুখতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিকভাবে এদের বয়কট করারও আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা যায় গাজীপুরে একই বিল্ডিয়ে পাঁচটি সাংবাদিক সংগঠন, আছে। ও সাইনবোর্ড পাওয়া গেছে, গাজীপুরে ১৭ টি প্রেসক্লাব ,, নারায়ণগঞ্জে সাইনবোর্ড এলাকায় একই ভবনে ১১ টি সংগঠন ও ২০/২৫ টি পত্রিকার সাইনবোর্ড পাওয়া গেছে । বর্তমানে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায় বিভিন্ন পদত্যাগ বিভিন্ন ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে সাংবাদিকদের মাঝে, শিবপুরে শুরু হয়েছে কামড়াকামড়ি, নরসিংদী সদরে একই অবস্থা, মাধবদীতে একই অবস্থা, পলাশে দুইটি প্রেসক্লাব, মনোহরদীতে তিনটি প্রেসক্লাব ,নরসিংদী জেলায় নরসিংদী প্রেসক্লাব, নরসিংদী জেলা প্রেসক্লাব, জেলা প্রেস ক্লাব নরসিংদী তিনটি প্রেসক্লাব, মাধবদী প্রেস ক্লাব, মাধবদী থানা প্রেসক্লাব, ২ টি প্রেসক্লাব রয়েছে, নরসিংদী সদর সদর প্রেস ক্লাব, ।
অনুসন্ধানে দেখা যায় একই ব্যক্তি তিন চারটি সংগঠনে থাকে এবং নেতৃত্ব দেয় ।
আঞ্চলিক পত্রিকার রয়েছে তিন চারটি সংগঠন ।
সাংবাদিক নেতা মাজারুল পারভেজ, পলাশ, সম্পাদক টিপুর নেতৃত্বে
ক্লিন সাংবাদিক ক্লিন নরসিংদী নামে একটি অপারেশন শুরু হবে ।
নেতৃত্ব দিবেন মাসুদ রানা বাবুল, নুরুজ্জামান পিটু, ওবায়দুল ইসলাম,মানিক মিয়া, এডভোকেট সারোয়ার, মাইন উদ্দিন সরকার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাডভোকেট বদরুল, মোশারফ হোসেন , কাজী জয়নাল, মতিউর রহমান , তালাত মাহামুদ , ইউসুফ ভূঁইয়া, আশিক প্রমুখ।