1. sokalerbangla@gmail.com : admin :
  2. dainikchoukos@gmail.com : jahid hasan : jahid hasan
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন
সদ্য প্রাপ্ত:-
কোস্ট গার্ডের অভিযানে হালিশহরে ৪ কোটি টাকার বিদেশি মদ জব্দ আগের দাপটে আওয়ামী কর্মী আজহার, আতঙ্কে এলাকাবাসী অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতারঃ খুলনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ তিনজনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, হাসপাতালে ভর্তি। মোহনপুরে শ্রমিকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও মে দিবস পালন মোহনপুরে শ্রমিকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও মে দিবস উদযাপন গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ নিয়ে চট্টগ্রামে আলোচনা সভা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের গুরুত্বারোপ নকল পণ্যে বাজার সয়লাব, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি পায়রা নদীতে ভেসে উঠল মৃত ডলফিন, উদ্বেগ পরিবেশকর্মীদের শ্রীবরদীতে শ্রমিক দলের আয়োজনে মে দিবস পালিত

বৃহত্তম যমুনা রেল সেতুর উদ্বোধন

প্রতিবেদকের নামঃ
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫

জহির আহমেদ, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :

যমুনা নদীর দিয়ে নির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেলসেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টা ৪০মিনিটে সেতুর পূর্ব পাশে ইব্রাহিমাবাদ স্টেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেতুর উদ্বোধন করেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম।

এর ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। উদ্বোধনের পর মাত্র সাড়ে তিন মিনিটে রেলসেতু অতিক্রম করে একটি স্পেশাল ট্রেন।এর আগে ৬ কোচের এই স্পেশাল ট্রেনটি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুতের পর সাজিয়ে রাখা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৫০টি পিলার, ৪৯টি স্প্যানের ওপর অত্যাধুনিক স্টিল প্রযুক্তির অবকাঠামোতে নির্মিত ডাবল লেনের সেতুটি জানান দিচ্ছে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় অগ্রযাত্রার কথা।

৪.৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ এই সেতু দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে ঢাকার সঙ্গে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়েছে।

জানা গেছে, সেতুটি দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। তবে উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে সেতু দিয়ে ৯০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে।

এতে সেতু পার হতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ মিনিট। এর আগে যমুনা সেতু দিয়ে ট্রেন পাড়ি দিতে ২০ মিনিট সময় লাগত।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর যমুনা বহুমুুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ শুরু হয়।

তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে থাকে।

গতি কমের কারণে সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি ঘটে শিডিউল বিপর্যয়। সমস্যা সমাধানে তৎকালীন সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা করা হয়।

যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থয়ান এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।

২০২০ সালের (২৯ নভেম্বর) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

জাপানের আইএইচআই, এসএমসিসি, ওবায়শি করপোরেশন, জেএফই এবং টিওএ করপোরেশন- পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তিনটি প্যাকেজে সেতুর নির্মাণকাজে দায়িত্ব পালন করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বে আসার পর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন করে যমুনা সেতু নামকরণ করা হয়।

সূত্র জানায়, সেতুটি চালু হওয়ায় উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ ও রেলওয়ে পরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রান্স এশিয়ান রেলপথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার হবে।

এতে আমদানি-রপ্তানি খরচ কমে যাওয়ার পাশাপাশি যমুনা সেতু ও মহাসড়কের ওপর চাপ কমবে। একইসঙ্গে উত্তরাঞ্চল থেকে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজ হবে। যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সামাজিক জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাবে।

আগে যমুনা সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করলেও নতুন সেতু দিয়ে ৮৮টি ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।

এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহা-পরিচালক মো. আফজাল হোসেন।

এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মি. সাইদা শিনিচি, জাইকার দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক মি. ইতো তেরুয়ুকি, যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরিফা হক, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান প্রমুখ।

উদ্বোধনের পর সেতুর পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তের সয়দাবাদ রেলস্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেল সেতু অতিক্রম করে।

পরে সয়দাবাদ রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে ট্রেনটি ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফিরে আসবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved dailychoukas.com 2014-2025
Theme Customized BY LatestNews