সাগর আহমেদ, ঘাটাইল উপজেলা প্রতিনিধি
টাংগাইলের ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়ন এর গুইয়াগুম্বির গ্রামের বাসিন্দা কুদ্দুসের অসহায়ত্ব।
আমার বয়স তো এখন প্রায় ৪৫ বছর হইব। দুই-এক বছর কমবেশিও হতে পারে।
আমি ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়ন গুইয়াগুম্বির গ্রামে বাসিন্দা। এক বছর আগে আমার বউ মারা যায়। আমি এবং আমার দুই ছেলে সন্তান এবং এক মেয়ে আর আমার বাবাকে নিয়েই আমার অভাবের সংসার।
সংসারে অভাব ছিলো আগে থেকেই । বিভিন্ন কাজকর্ম করে সংসার চালাচ্ছি। কিন্তু এখন চোখের সমস্যা ঠিক মতন চোখে দেখি না যার ফলে কাজ কর্ম ঠিক মতন করতে পারি না।
আমার ছোট্ট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। আর দুইটা ছেলে ছোট্ট ছোট্ট অসুস্থ শরীর নিয়ে যা কাজ কর্ম করে যা দুই চার টাকা উপার্জন করতে পারি তাই দিয়ে চাল ডাল কিনি। আমার ছোট্ট মেয়েটি পড়ালেখা করে স্কুল যায় এবং আমাদের রান্না করেও খাওয়ায়। ছোট্ট দুইটা ছেলেকেও দেখাশোনা করে ।
আমার বাবাও বৃদ্ধ মানুষ সে ঠিক মতন চলাফেরা করতে পারে না। তিনিও অনেক দিন যাবত অসুস্থ তারও চিকিৎসা করাতে পাচ্ছি না।
মাঝে মাঝে মনে হয় আল্লাহ যেনো আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। ছোট্ট ছেলে মেয়ে গুলোর মুখের দিক তাকালে মনে হয় এ জীবন কি এমন অপরাধ করেছি যে আল্লাহ আমার সাথে এমন করছে।
আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ কষ্টের কাজও ঠিক মতন করতে পারি না। সকলের কাছে আকুল আবেদন আমাকে যদি একটা অটোরিকশা কিনে দিত তাহলে আমি আমার ছেলে মেয়ে এবং পিতাকে নিয়ে দুমুঠো ভাত খেয়ে চলতে পারতাম।