গাজার শিশু আমাকে প্রশ্ন করে
(শহীদের রক্তে লেখা এক বেদনাবিধুর কবিতা)
গাজার এক শিশু, ধুলো মাখা মুখে,
আমার দিকে চেয়ে বলে—
“আঙ্কেল, মুসলমানেরা কি আজও বেঁচে আছে?”
আমি চুপ করে থাকি…
কারণ, আমি তার প্রশ্নের জবাব জানি না।
তার চোখে আগুন নয়,
শুধু বিস্ময়, ব্যথা আর অনন্ত এক নিরবতা।
সে বলে—
“নবীজিকে খুব ভালোবাসি,
কিন্তু তাঁর উম্মতরা কই?
আমার ভাইটাকে কাঁধে নিয়ে মসজিদের পথে
যখন যাচ্ছিলাম—
তখনও কোনো মুসলিম আসে নাই।”
একটি মেয়েশিশু—
আবিরের মতো মাথা খুলে গেছে বোমার তাপে,
সে আঁকড়ে ধরে পবিত্র কুরআন,
যার পৃষ্ঠায় লেগে আছে তারই রক্ত।
একজন বাবা—
নিজ হাতে সন্তানকে কবরে শোয়ায়,
আর ফিসফিস করে বলে,
“বাবা, এই বারুদ তোমার শয়নকক্ষ,
এই ধ্বংসই তোমার খেলাঘর।”
আল্লাহর আরশ কি আজও কাঁপে না?
ফেরেশতারা কি থেমে গেছে,
গাজার আকাশে যখন মুয়াজ্জিনের গলা নিস্তব্ধ?
এই কি তবে উম্মাহর চেহারা—
যেখানে মুসলিমের রক্তে বিশ্ব রাজনীতি খেলে,
আর আমরা ফেসবুকে ‘pray for Gaza’ লিখে
নিজেদের দায়িত্ব শেষ করি?
হে মুসলিম বিশ্ব!
তোমার খালি গলায় আল্লাহু আকবর,
তোমার খালি চোখে জমে আছে পানি—
কিন্তু হাত খালি,
জিহাদের পথ খালি,
আর গাজা—
সে তো এখন শুধু লাশের নাম।
একদিন শহীদ শিশুরা উঠবে,
জান্নাতের কোরাস গেয়ে,
আর বলবে—
“আমরা কাঁদিনি,
আমরা তো জিতেই গেছি,
হারলে তো তোমরা—
যারা বেঁচেও কিছু করোনি।”
—সাব্বির সরকার
(একটি কাঁদতে থাকা কলমের ভাষায় লিখিত)