জাহিদ হাসান:
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষ দোকানে লুটপাট করছে—এমন এক বিশৃঙ্খল দৃশ্য। ছবিটি ঘিরে মানুষের মাঝে উদ্বেগ, ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, ভাইরাল হওয়া ছবিটি আসলে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দিয়ে তৈরি—বাস্তব কোনো ঘটনার দৃশ্য নয়।
ছবিটির কয়েকটি জায়গা পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যায়, এটি AI জেনারেটেড। যেমন:
এক ব্যক্তি একটি কার্টনের উপর হাঁটু গেড়ে বসে আছে, অথচ কার্টনটি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।
একজনের হাত অন্যজনের জুতার উপর আছে, কিন্তু জুতাটি কোনো চাপ বা বিকৃতি ছাড়াই স্বাভাবিক।
হাতের গঠনে অস্বাভাবিকতা দেখা যাচ্ছে—আঙুলের সংখ্যা, গঠন ও অবস্থান স্বাভাবিক নয়।
এ ধরনের ভুয়া ছবি ছড়িয়ে মূল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রতিবাদ একটি নাগরিক অধিকার, তবে সেটি হতে হবে আইনানুগ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ। অন্যদিকে, লুটপাট, চুরি কিংবা সহিংসতা কোনোভাবেই ন্যায়সঙ্গত নয়।
যারা প্রকৃত অপরাধী, তাদেরকে সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তবে তা যেন হয় সত্য-তথ্য যাচাইয়ের ভিত্তিতে, কোনো মিথ্যা কিংবা এআই-নির্ভর বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে নয়।
আমরা চাই প্রতিবাদ হোক, তবে তা যেন কখনো চুরির পৃষ্ঠপোষক না হয়। চোরকে চিহ্নিত করা হোক, তবে যেন সে চিহ্ন হয় বাস্তব সত্যের আলোকে, ভুয়া কল্পনার নয়।