স্টাফ রিপোর্টার:
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়কে সামনে রেখে সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার দুপুরে সরকারি সফরে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, আগামী ১৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করা হবে। রায়কে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সর্বোচ্চ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
উপদেষ্টা আরও জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নয় দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে। নির্বাচন পূর্ববর্তী পাঁচ দিন, নির্বাচনের দিন এবং পরবর্তী তিন দিন নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর অবস্থানে মাঠে থাকবে। প্রয়োজন হলে পরিস্থিতি বিবেচনায় সময়সীমা সমন্বয় করা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে মাঠে থাকা ৩০ হাজার সেনা সদস্যের সংখ্যা বাড়িয়ে নির্বাচনের সময় প্রায় ১ লাখে উন্নীত করা হবে। এ ছাড়া দায়িত্ব পালন করবে—
১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্য, ৩৫ হাজার বিজিবি,
৫ হাজার নৌবাহিনী, ৪ হাজার কোস্টগার্ড ৮ হাজার র্যাব, এবং আনুমানিক ৫ লাখ ৫০ হাজার আনসার সদস্য।
নিরাপত্তা জোরদারে আনসার সদস্যদের অস্ত্র ও বডিক্যামের সরবরাহও করা হবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সন্দেহের কোনো সুযোগ নেই।”
সরকার পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এই দেশে কোনো তিনজন ব্যক্তির কারণে সরকার পতন হয়নি; জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণেই পরিবর্তন এসেছে। আপনারা দেখেছেন, তারা কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এটি জনগণের ইচ্ছারই প্রতিফলন।”
তিনি আরও জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই—রোজার আগেই—অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর লটারির মাধ্যমে প্রশাসনিক reshuffle করা হবে।
মতবিনিময় শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পটুয়াখালী পুলিশ লাইনস ও কোস্টগার্ড বেইস পরিদর্শন করেন।
