1. sokalerbangla@gmail.com : admin :
  2. pphelp90@gmail.com : jahid hasa : jahid hasa
  3. shahriarnishat84@gmail.com : Nishat Shahria : Nishat Shahria
  4. sholimuddin1986@gmail.com : Sholim : Sholim
  5. smnazrulislam.official@gmail.com : SM Nazrul Islam : SM Nazrul Islam
July 27, 2024, 6:36 am
Title :
বাংলাদেশে এলো পিজিএম-এফআইইঞ্জিন প্রযুক্তির নতুন হোন্ডা এসপি ১৬০ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বিজনেস সেমিনার অনুষ্ঠিত। রাজশাহী মোহনপুর উপজেলা পরিষদেরচেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বকুলেরদোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানায় পুলিশের অভিযানে অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০১ জন আসামী গ্রেফতার খাগড়াছড়ি, দিঘীনালা উপজেলা  আন্দোলনের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের কটূক্তির প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন রাজশাহীতে ধারের টাকা চাওয়াতেএ টিএস আই মো:আনিছুর রহমান প্রতারক,নাহিদের শিকার হলেন চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ  ধর্ষণ মামলার পলাতক (৩) আসামি গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের বিতর্কিত করায় এনবিআর কর্মকর্তা মতিউরের স্ত্রী লাকীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে (বিএমইউজে) প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত ফেনীর মুহুরী-কহুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত, পরিদর্শনে প্রতিমন্ত্রী মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ বিভিন্ন দাবীতে ঢাকা-আরিচা মহাসড় অবরোধ

লক্ষ্মীপুরে গ্রাহকের টাকা নিয়ে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর কর্মকর্তারা  উধাও, হেনস্তার শিকার নারী কর্মী 

Reporter Name
  • Update Time : Tuesday, October 31, 2023,
  • 222 Time View

আজিজুর রহমান আজম ], লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লক্ষ্মীপুর শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রায় ২০ জন গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে তাদের সাবেক নারী কর্মী আকলিমা আক্তার শিল্পি গ্রাহকদের ধারা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গ্রাহকদের হয়রানির ভয়ে তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে থাকতে পারছেন না। সম্প্রতি তার ঘর মেরামতের সামগ্রীও নিয়ে যায় গ্রাহকরা।

রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শহরের একতা সুপার মার্কেটের চতুর্থ তলায় বীমা কোম্পানীটির কার্যালয়ে গেলে দরজায় তালা ঝুলতে দেখা যায়। এসময় বাইরে কোম্পানীর নামে কোন সাইবোর্ড বা লেখনি দেখা যায়নি।

তবে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অন্য একটি বীমা কোম্পানীর ম্যানেজার বলেন, পদ্মার কার্যালয় বাগবাড়ি এলাকায় ছিল। সেখান থেকে একতা সুপার মার্কেটে এসেছে। কিন্তু তাদের অফিস খুলতে কখনো দেখা যায়নি।

আকলিমা আক্তার শিল্পির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিল্পি সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের খোরশেদ আলমের স্ত্রী। প্রায় ২২ বছর আগে তার স্বামী খোরশেদ মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তখন স্বামী উপার্জন বন্ধ হয়ে যায়। এতে তিনি বাড়ির সামনেই একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে বিভিন্ন শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতেন। এরপর তিনি বীমা কোম্পানী পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কর্মী হিসেবে যোগ দেন। এতে তিনি আশপাশে বহু মানুষকে পলিসি করিয়ে দিয়েছে। ১০০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকার পলিসিও ছিল। এরমধ্যেই অনেকেই তাদের পলিসির ম্যাচিউরিটি অর্থ পেয়ে গেছেন। আবার অনেকেই পাননি। যারা পাননি- তাদের ধারণা টাকাগুলো তিনি আত্মসাৎ করে ঢাকায় পালিয়ে আছেন। এজন্য বিভিন্ন সময় বাড়িতে আসলে আশপাশের বখাটে থেকে শুরু করে গ্রাহকরা তাকে নানানভাবে হয়রানি করে। বীমার কাজ ছেড়ে তিনি ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। তার মেয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ও ছোট ছেলে আকরাম হোসেন আকিব ঢাকায় একটি প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত থাকায় তাকে ঢাকায় থাকতে হয়। ছেলেমেয়ের পড়ালেখা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এতে তিনি বাড়িতে একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করতে আসেন। কিন্তু বীমার গ্রাহকরা তাকে বাধা দিচ্ছেন। ঘরের নির্মাণ কাজের জন্য আনা সামগ্রীগুলো দলবলসহ এসে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে সামগ্রীগুলো উদ্ধার করে দেন।

বীমার গ্রাহক ছালেহা বেগম, কহিনুর বেগম, নাজমা বেগম, মনি বেগম ও দেলোয়ার হোসেন জানায়, পলিসি করানোর সময় শিল্পি বলেছেন, টাকা যদি কোম্পানী না দেয় তাহলে তিনি (শিল্পি) দেবেন। এখন তিনি টাকা দিচ্ছেন না। কোম্পানীর লোককেও দেখিয়ে দিচ্ছেন না। দুই-একজন কার্যালয় গিয়েও ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। কার্যালয়ে ঠিকানা গেলে দরজায় তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। তাদের মোবাইল নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যায়। একইভাবে তারাসহ অন্তত ২০ জন গ্রাহক বিপাকে রয়েছেন।

আবুল কাশেম নামে এক গ্রাহক জানান, শিল্পির মাধ্যমেই তার স্ত্রীর নামে একটি পলিসি করা হয়। শিল্পি বাড়িতে থাকে না। এতে তিনি লক্ষ্মীপুর বীমার কার্যালয় যান। কিন্তু অফিসের লোকজন চোর। কখনো বাগবাড়ি, কখনো তমিজ মার্কেট অফিস নিয়ে যায়। তখন স্ত্রীর পলিসি হিসেবে তিনি পুরো টাকা জমা আছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে টাকার আনতে যাওয়ার সময় অবশ্যই শিল্পিকে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু এখন আবার বীমার অফিস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অফিসের ঠিকানায় গেলে দরজায় তালা ঝুলতে দেখা যায়।  

আকলিমা আক্তার শিল্পি বলেন, আমি গ্রাহকদের টাকা নিয়মিত অফিসে জমা দিয়েছি। জমার রশিদ গ্রাহকদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বীমার মেয়াদ শেষ হলেও অনেকেই টাকা পাননি। আবার অনেকে জেলা কার্যালয় ও ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে তাদের পলিসির যাচাই করে এসেছেন। সবার টাকা সঠিকভাবেই জমা হয়েছে। যারা বিষয়টি বুঝে না তারা আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। আমি নাকি তাদের টাকা আত্মসাৎ করেছি। এতে আমি বাড়িতে আসলেই সবাই আমাকে নানানভাবে হয়রানি করে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) আমার ঘর মেরামতের নির্মাণ সামগ্রীগুলো নিয়ে যায় কয়েকজন গ্রাহক। পরে ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ এসে নির্মাণ সামগ্রীগুলো উদ্ধার করে দেয়।

এ ব্যাপারে জানতে জেলা শহরের একতা সুপার মার্কেটে লক্ষ্মীপুর কার্যালয় গেলে দরজায় তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। কার্যালয়ের সামনে তাদের নাম সংবলিত কোন কিছু দেখা যায়নি। তবে দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ মোবাইলফোনে একাধিকবার কল ও এসএমস দিয়েও বক্তব্য জানা সাড়া পাওয়া যায়নি। একই কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. মোহনের মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কোম্পানীর ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের দাপ্তরিক নাম্বারে কল দিলেও কেউ রিসিভ করেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved dailychoukas.com 2018
Theme Customized BY LatestNews